23 Feb 2025, 04:59 am

নিত্যপণ্যের সিন্ডিকেট চক্রকে শাস্তি না দিলে কমবে না জনগণের ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বাংলাদেশের নিত্যপণ্যের বাজার পরিস্থিতি এখন অনেকটা গা সহা ভাব হয়ে যাচ্ছে অসহায় ভোক্তাদের কাছে। কারন পেঁয়াজ আমদানির খবরেও খুচরা বাজারে খুব একটা প্রভাব নেই দাম কমার। এখনো দেশি জাতের কেজি ৭০ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ৫০ টাকা।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, চাষিরা বেশি মুনাফা করতে চান। তাই দাম কম শুনলে অনেকে পেঁয়াজ বাজারে আনছেন না। এদিকে, পোল্ট্রি বাজারে মুরগির দাম কমলেও ডিমের দাম চড়া। চালের দর শুনে খুশি নন ক্রেতা। অর্থাৎ বছরের যে কোনো স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বর্তমানে নিত্যপণ্যের বাজার আরো বেশ চড়া। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমেছে সবজির দাম।

আজ শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খানিকটা স্বস্তি মিলছে সবজির বাজারে।  অধিকাংশ সবজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০ থেকে ৮০ টাকা। এ তালিকায় রয়েছে পটল, ঢেড়স, বেগুন, পেঁপে, ঝিঙে, চিচিঙ্গা। তবে করলা, বরবটি, কচুর লতি ও টমেটো এখনো ৬০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে রয়েছে। আর সজনে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি।

হাতিরপুর বাজারে আসা ভোক্তা রুহুল আমিন বলেন, তেল, চিনি, ডালের মতো আমদানিনির্ভর পণ্যের দাম যে হারে বেড়েছে, ভেবেছিলাম বাজেটে সেসব পণ্যের দাম সহনীয় করতে কোনো না কোনো পদক্ষেপ থাকবে। কিন্তু নেই বরং দেখলাম, অনেক পণ্যের দাম বাড়ছে। সেজন্য বলা যায় বাজেট আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতার জন্য কখনো কোনো সুখবর নিয়ে আসে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে, রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে তেল, চিনি, আটা-ময়দার দামও বেড়ে চড়ায় আটকে রয়েছে। পাশাপাশি প্যাকেটজাত চিনি ও ময়দাসহ বেশ কিছু পণ্যের সরবরাহ সংকটও রয়েছে।

বোতলজাত সয়াবিন তেলের ঘাটতির কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা। তারা জানান, গত দুই সপ্তাহ ধরে অধিকাংশ তেল-চিনি পরিশোধনকারী কোম্পানি নতুন করে পণ্য সরবরাহ করেনি। দ্রুত সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে এসব পণ্যের দাম আরও বাড়তে পারে।

কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে চড়া হচ্ছে মসলার বাজার। অন্যান্য নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির উত্তাপ এখন ছড়িয়েছে মাছের বাজারেও। প্রকারভেদে সাধারণ চাষের মাছের দাম কেজিতে বেড়েছে প্রায় ৫০ থেকে ২০০ টাকা। অন্যদিকে ইলিশ-চিংড়ির পাশাপাশি দেশি পদের উন্মুক্ত জলাশয়ের মাছের দাম বেড়েছে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা প্রতি কেজিতে।

এমন পরিস্থিতিকে গরীব মারার বন্দোবস্ত বলেই আক্ষেপ অনেক ক্রেতাদের। এমন পরিস্থিতি মোকাবেলায়

কনজ্যুমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ক্যাব এর সিনিয়র সহ সভাপতি ও জ্বালানী উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম মনে করেন, অসাধু চক্রের প্রতারণা থেকে ভোক্তাদের রক্ষায় অসাধু ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত এখন প্রধান দাবী। নইলে প্রতিনিয়ত বাড়বে ভোক্তাদের এমন হয়রানী।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *